বাংলাদেশ শ্রম অনুযায়ী লেফটি চিঠি দেওয়ার নিয়মঃ

বাংলাদেশ শ্রম আইনে ১০ দিনের অধিক কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে তার করণীয় ও পদ্ধতিঃ
ধারাঃ ২৭ শ্রমিক কর্তৃক চাকরি অবসানঃ (৩ক) উপ-ধারা (৩) যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন শ্রমিক বিনা নোটিশে বা বিনা অনুমতিতে ১০ দিনের অধিক কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে উক্ত শ্রমিকদের ১০ দিনের সময় প্রদান করিয়া এবং চাকরিতে পুনরায় যোগদানের জন্য নোটিশ প্রদান করিবেন এবং এইরূপ ক্ষেত্রে উক্ত শ্রমিক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান বা চাকরিতে যোগদান না করিলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে তাহার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আরো সাত দিন সময় প্রদান করিবেন । তাতে যদি সংশ্লিষ্ট শ্রমিক চাকরিতে যোগদান অথবা আত্মপক্ষ সমর্থন না করেন তবে, উক্ত শ্রমিক অনুপস্থিতির দিন হইতে চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছেন বলিয়া গণ্য হইবেন ।

১) ১০ দিনের অধিক কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে প্রথমে তাকে দশ দিন সময় প্রদান করিয়া চাকরিতে যোগদানের জন্য একটি চিঠি দিতে হবে। যদি সে যোগদান না করে

২) তবে তাকে আরও সাত দিনের সময় প্রদান করিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন সহ কাজে যোগদান করার জন্য বলা হবে ।

৩) উক্ত সময়ের মধ্যে যদি কাজে যোগদান না করে –

৪) তবে ঐ শ্রমিক অনুপস্থিতির দিন হইতে চাকরি হতে ইস্তফা দিয়েছেন বলে গণ্য হবে।

প্রথম চিঠির নমুনাঃ

বাংলাদেশ শ্রম আইনে ১০ দিনের অধিক কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে তার করণীয় ও পদ্ধতিঃ
ধারাঃ ২৭ শ্রমিক কর্তৃক চাকরি অবসানঃ (৩ক) উপ-ধারা (৩) যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন শ্রমিক বিনা নোটিশে বা বিনা অনুমতিতে ১০ দিনের অধিক কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে উক্ত শ্রমিকদের ১০ দিনের সময় প্রদান করিয়া এবং চাকরিতে পুনরায় যোগদানের জন্য নোটিশ প্রদান করিবেন এবং এইরূপ ক্ষেত্রে উক্ত শ্রমিক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান বা চাকরিতে যোগদান না করিলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে তাহার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আরো সাত দিন সময় প্রদান করিবেন । তাতে যদি সংশ্লিষ্ট শ্রমিক চাকরিতে যোগদান অথবা আত্মপক্ষ সমর্থন না করেন তবে, উক্ত শ্রমিক অনুপস্থিতির দিন হইতে চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছেন বলিয়া গণ্য হইবেন ।

১) ১০ দিনের অধিক কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে প্রথমে তাকে দশ দিন সময় প্রদান করিয়া চাকরিতে যোগদানের জন্য একটি চিঠি দিতে হবে। যদি সে যোগদান না করে

২) তবে তাকে আরও সাত দিনের সময় প্রদান করিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন সহ কাজে যোগদান করার জন্য বলা হবে ।

৩) উক্ত সময়ের মধ্যে যদি কাজে যোগদান না করে –

৪) তবে ঐ শ্রমিক অনুপস্থিতির দিন হইতে চাকরি হতে ইস্তফা দিয়েছেন বলে গণ্য হবে।

প্রথম চিঠির নমুনাঃ

সুত্র:

তারিখঃ —————- ইং

              (১ম চিঠি)
               রেজিষ্ট্রার্ড ডাকযোগে প্রেরিত

প্রাপক, বর্তমান ঠিকানা স্থায়ী ঠিকানা
নামঃ নামঃ নামঃ
আইডি নং প্রযতেঃ প্রযতেঃ
পদবীঃ গ্রামঃ গ্রামঃ
সেকশনঃ পোঃ পোঃ
যোগদানঃ থানাঃ থানাঃ
জেলাঃ জেলাঃ

বিষয়ঃ বাংলাদেশ শ্রম আইন- ২০০৬ -সংশোধন ২০১৮ এর ২৭(৩ক) ধারা মোতাবেক ব্যাখ্যা প্রদান সহ চাকুরীতে যোগদানের জন্য নোটিশ।

জনাব/জনাবা,

আপনি গত ————–ইং থেকে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। আপনার এ ধরনের অনুপস্থিতির কারনে কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বিধায় বাংলাদেশ শ্রম সংশোধন আইন -২০১৮ এর ২৭(৩ক) ধারা মতে অনতিবিলম্বে আপনাকে অনুপস্থিতির কারন ব্যাখ্যা সহ কাজে যোগদানের অথবা আপনার এ ধরনের বিনা নোটিশে বা উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে কারখানায় ১০ দিনের অধিক সময় অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করা হল।

সুতরাং অত্র পত্র প্রাপ্তির ১০ (দশ) দিনের মধ্যে আপনার অনুপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যাসহ কাজে যোগদানের জন্য আপনাকে নির্দেশ দেয়া হলো।

আপনার লিখিত জবাব উক্ত সময়ের মধ্যে নিম্নে স্বাক্ষরকারীর নিকট অবশ্যই পৌছাতে হবে। অন্যথায় কর্তৃপক্ষ আপনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।

আদেশক্রমে,

কর্তৃপক্ষ

অনুলিপি
১. ব্যবস্থাপনা পরিচালক,সদয় অবগতির জন্য;
২. কারখানার নোটিশ বোর্ড;
৩. শ্রমিকের ব্যক্তিগত নথি:
৪. সিকিউরিটি বিভাগ।

২য় চিঠির নমুনাঃ

সুত্র:

তারিখঃ —————- ইং

                       (২য় চিঠি)
             রেজিষ্ট্রার্ড ডাকযোগে প্রেরিত

প্রাপক, বর্তমান ঠিকানা স্থায়ী ঠিকানা
নামঃ নামঃ নামঃ
আইডি নং প্রযতেঃ প্রযতেঃ
পদবীঃ গ্রামঃ গ্রামঃ
সেকশনঃ পোঃ পোঃ
যোগদানঃ থানাঃ থানাঃ
জেলাঃ জেলাঃ

বিষয়ঃ বাংলাদেশ শ্রম আইন- ২০০৬ -সংশোধন ২০১৮ এর ২৭(৩ক) মোতাবেক) আত্নপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান প্রসঙ্গে।

জনাব/জনাবা,

আপনি গত ——————ইং তারিখ থেকে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এ প্রেক্ষিতে কারখানা কর্তৃপক্ষ আপনার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানায় রেজিষ্ট্রি ডাকযোগে গত —————–ইং তারিখে বিনানুমতিতে চাকুরীতে অনুপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যাসহ কাজে যোগদানের জন্য পত্র প্রেরণ করেছে। কিন্তু অদ্যবধি আপনি উপরোক্ত বিষয়ে কোন ধরণের লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করেন নাই অথবা চাকুরীতেও যোগদান করেননি।

অতএব, অত্র পত্র প্রাপ্তির ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে আত্নপক্ষ সমর্থনসহ কাজে যোগদান করতে আপনাকে নির্দেশ দেওয়া গেল।

উক্ত সময়ের মধ্যে আপনি আত্নপক্ষ সমর্থনের জবাব সহ কাজে যোগদান করতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ শ্রম আইন বাংলাদেশ শ্রম সংশোধন আইন ২০১৮ এর ২৭(৩ক) অনুযায়ী আপনি চাকুরীতে ইস্তফা দিয়েছেন বলে গণ্য হবে।

আদেশক্রমে,

কর্তৃপক্ষ

অনুলিপি

১. ব্যবস্থাপনা পরিচালক,সদয় অবগতির জন্য;
২. কারখানার নোটিশ বোর্ড;
৩. শ্রমিকের ব্যক্তিগত নথি:
৪. সিকিউরিটি বিভাগ।

৩য় চিঠির নমুনাঃ
সুত্র:

তারিখঃ —————- ইং

                 (৩য় চিঠি)
      রেজিষ্ট্রার্ড ডাকযোগে প্রেরিত

প্রাপক, বর্তমান ঠিকানা স্থায়ী ঠিকানা
নামঃ নামঃ নামঃ
আইডি নং প্রযতেঃ প্রযতেঃ
পদবীঃ গ্রামঃ গ্রামঃ
সেকশনঃ পোঃ পোঃ
যোগদানঃ থানাঃ থানাঃ
জেলাঃ জেলাঃ
বিষয়ঃবাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধন-২০১৮ এর ২৭(৩ক) ধারা মোতাবেক শ্রমিক কর্তৃক সেচ্ছায় চাকুরী হইতে ইস্তফা প্রসঙ্গে।

জনাব/জনাবা,

আপনি গত——————–ইং তারিখ হতে অদ্যবদি কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারনে আপনাকে গত ——————-ইং তারিখে পত্রের মাধ্যমে ১০ (দশ) দিনের সময় দিয়ে চাকুরীতে যোগদানসহ ব্যাখ্যা প্রদান করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আপনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কর্মস্থলে উপস্থিত হননি এবং কোন ব্যাখ্যা প্রদান করেননি। তথাপি কর্তৃপক্ষ গত———————–ইং তারিখে আরও একটি পত্রের মাধ্যমে আপনাকে ৭ (সাত) দিনের সময় দিয়ে আতœপক্ষ সমর্থনসহ চাকুরীতে যোগদানের জন্য পুনরায় নির্দেশ প্রদান করেন। তৎসত্তে¡ও আপনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আতœপক্ষ সমর্থন করেননি এবং চাকুরীতে যোগদান করেননি।

সুতরাং বাংলাদেশ শ্রম সংশোধন আইন ২০১৮ এর ২৭(৩ক) ধারা অনুযায়ী অনুপস্থিতির দিন থেকে আপনি চাকুরীতে ইস্তফা দিয়েছেন বলে গণ্য করা হলো।

অতএব আপনার বকেয়া মজুরী ও আইনানুগ পাওনা (যদি থাকে) যে কোন কর্মদিবসে অফিস চলাকালীন সময়ে কারখানার হিসাব শাখা থেকে গ্রহন করার জন্য নির্দেশ দেয়া গেল।

আদেশক্রমে,

কর্তৃপক্ষ

অনুলিপি

১. ব্যবস্থাপনা পরিচালক,সদয় অবগতির জন্য;
২. কারখানার নোটিশ বোর্ড;
৩. শ্রমিকের ব্যক্তিগত নথি:
৪. সিকিউরিটি বিভাগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *